নামাজ আদায়ের নিয়ম। পর্ব ০৫ঃ সালাতের ওয়াজিব
নামাজের ওয়াজিব ১৪ টি।
১. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারি )
২. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো। (বুখারি , মুসলিম )
৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারি , মুসলিম )
৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া। (বুখারি, মুসলিম , তিরমিজি, )
৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা (অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা)। (বুখারি , মুসলিম, আবু দাউদ)
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা)। (বুখারি )
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।
(বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি )
৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর তারতিব বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। (বুখারি )
৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। (যেমন—দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সঙ্গে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু শেষ করে তত্ক্ষণাৎ তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি। (বুখারি , তিরমিজি )
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে।
(বুখারি, তিরমিজি , ইবনে মাজাহ )
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা। (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ )
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্নভাবে তাকবির বলা।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ )
এই তাকবিরটি অন্যান্য নামাজে সুন্নত।
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবি ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। (মুসলিম , নাসায়ি , তিরমিজি )
মনে রাখতে হবে, আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে পড়া নয়। কেননা এতে নামাজ শুদ্ধ হয় না; বরং আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে পড়া জরুরি)।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারি )
পিডিএফ আকারে Download কিংবা copy Paste করার Option থাকলে ভাল হত।