নামাজ আদায়ের নিয়ম।১ম পর্ব: সালাতের অর্থ কি ?
ইবাদতের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে সালাত বা নামাজ। সালাত একটি ফরজ ইবাদত। এটি ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়।
সালাত’ -এর আভিধানিক অর্থ
দো‘আ, রহমত তথা দয়া বা করুনা, ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা, দরুদ বা শুভকামনা, তাসবিহ বা পবিত্রতা বর্ননা করা, ইত্যাদি।
পারিভাষিক অর্থ: সালাত শব্দের পারিভাষিক অর্থ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ইবাদত সম্পাদন করা।
শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের
শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমা দ্বারা শুরু হয় ও সালাম দ্বারা শেষ হয়’।
এর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত হলো ফরজ, যথা: ফজর বা ভোরের সালাত; জোহর বা দ্বিপ্রহরের সালাত; আসর বা বিকেলের সালাত; মাগরিব বা সান্ধ্যকালীন সালাত; ইশা বা রাত্রকালীন সালাত।
নামায শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সি: نماز) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবি ভাষার সালাত শব্দের (আরবি: صلاة, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। বাংলা ভাষায় ‘সালাত’-এর পরিবর্তে সচরাচর ‘নামাজ’ শব্দটিই ব্যবহৃত হয়। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম সালাত (একবচন) বা সালাহ্ (বহুবচন)।
“সালাত” হচ্ছে কোরআনিক শব্দ। অন্যদিকে “নামাজ” ফারসী শব্দ। কিন্তু মুসলিমরা যখন নামাজের কথা বলে তখন সবাই কোরআনের সালাতকেই বুঝে থাকে, অন্য কোনো সম্প্রদায়ের উপাসনা পদ্ধতিকে নয়।
যাহোক, বাংলাদেশী মুসলিমরা দেশে যেভাবে “নামাজ” পালন করে, সৌদি আরব বা আমেরিকাতে যেয়ে তাদের সাথে কিন্তু একইভাবে “সালাত” পালন করে! ইন্দোনেশিয়ান-মালয়েশিয়ান মুসলিমরাও সৌদি আরব বা আমেরিকাতে যেয়ে একই নিয়মে “সালাত” পালন করে। ফলে মুসলিমদের কাছে “নামাজ” আর “সালাত” এর মধ্যে কোনোই পার্থক্য নেই, পার্সীয়ানদের কাছে পার্থক্য থাকলে থাকতেও পারে। বাঙ্গালীদের কাছে যেমন যাহাই জল তাহাই পানি, তেমনি বাঙ্গালী মুসলিমদের কাছে যাহাই নামাজ তাহাই সালাত।